বুদ্ধপূর্ণিমা ২০২৪: বিশ্বব্যাপী উৎসবের আয়োজন
বাংলাদেশ:
ধর্মীয় অনুষ্ঠান:
ঢাকার বৌদ্ধ
মন্দিরগুলোতে, বিশেষ করে কমলাপুর বৌদ্ধ মন্দির ও জাতীয় বৌদ্ধ মন্দিরে
প্রার্থনা, ধ্যান, প্রদীপ জ্বলন, বই দান, পঞ্চশীল পালন ইত্যাদি অনুষ্ঠানে ভিড় জমেছিল।
দেশব্যাপী মন্দিরগুলোতে প্রভাত ফেরি, শান্তিপূর্ণ মিছিল ও ধর্মীয় সভা আয়োজিত হয়েছে।
সামাজিক অনুষ্ঠান:
দান-ধ্যান, রক্তদান, বৃক্ষরোপণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মেলা-পরব আয়োজিত হয়েছিল। অনেক সামাজিক সংগঠন অসহায়দের মধ্যে খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ করেছে।
সরকারি উদ্যোগ:
বাংলাদেশ সরকার বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে সারা দেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করে। ঢাকায় বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ ধর্ম সম্মেলন আয়োজিত হয়েছিল।
বিশ্বব্যাপী বুদ্ধপূর্ণিমা
ভারত: বোধগয়া, সারনাথ, কুশীনগর সহ বিভিন্ন তীর্থস্থানে বড় আকারে বুদ্ধপূর্ণিমা পালিত হয়েছে। দিল্লিতে আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ দিবস উদযাপন করা হয়েছিল।
নেপাল: লুম্বিনীতে, বুদ্ধের জন্মস্থানে, বুদ্ধপূর্ণিমা ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় পালিত হয়েছে।
শ্রীলঙ্কা: কলম্বো, আনুরাধাপুরা সহ বিভিন্ন শহরে বুদ্ধপূর্ণিমা উদযাপন করা হয়েছে।
চীন: বেইজিং, সাংহাই সহ বিভিন্ন শহরের বৌদ্ধ মন্দিরগুলোতে বুদ্ধপূর্ণিমা পালিত হয়েছে।
জাপান: টোকিও, কিয়োটো সহ বিভিন্ন শহরে বুদ্ধের মূর্তিতে জল ঢেলে বুদ্ধপূর্ণিমা উদযাপন করা হয়েছে।
জাতিসংঘে বুদ্ধপূর্ণিমা ২০২৪: শান্তি ও ন্যায়বিচারের বার্তা
২০২৪ সালের
৮ মে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে বুদ্ধপূর্ণিমা উদযাপন করা হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানে বিশ্বের
বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি, জাতিসংঘের কর্মকর্তা, বৌদ্ধ ধর্মগুরু ও সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ
করেছিলেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ছিল:
- বিশ্বে শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য বৌদ্ধ ধর্মের ভূমিকা
- বুদ্ধের শিক্ষার আলোকে টেকসই উন্নয়ন
- ধর্মীয় সহিষ্ণুতা ও পারস্পরিক সম্মান
জাতিসংঘের মহাসচিব
আন্তোনিও গুতেরেস বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে এক বার্তায় বলেছেন, "বুদ্ধের শিক্ষা
আমাদেরকে সহানুভূতি, করুণা ও জ্ঞানের পথে পরিচালিত করে। এই মূল্যবোধগুলো আজকের বিশ্বে
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে আমরা সংঘাত, দারিদ্র্য ও অসাম্যের মুখোমুখি।"
অনুষ্ঠানের শেষে অংশগ্রহণকারীরা বুদ্ধের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে বিশ্বে শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রার্থনা করেছিলেন।
জাতিসংঘে বুদ্ধপূর্ণিমা উদযাপন শুধু একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের চেয়ে অনেক বেশি। এটি বিশ্বব্যাপী শান্তি, ন্যায়বিচার ও সহানুভূতির বার্তা প্রচার করে।
উল্লেখ্য যে, জাতিসংঘ ২০০৫ সালে বুদ্ধপূর্ণিমাকে একটি আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে জাতিসংঘ বৌদ্ধ ধর্মের শান্তিপূর্ণ বার্তা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে চায়।
বুদ্ধপূর্ণিমার উল্লেখযোগ্য দিক:
এবারের বুদ্ধপূর্ণিমায় বিশ্বব্যাপী শান্তি ও সৌহার্দ্যের বার্তা আরও বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। অনেক দেশে বুদ্ধপূর্ণিমা সরকারি ছুটি হিসেবে পালিত হয়, যা এর গুরুত্ব ও ব্যাপকতা স্পষ্ট করে। বুদ্ধপূর্ণিমা কেবল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের উৎসব নয়, বরং সকল মান