বুদ্ধপূর্ণিমা: তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার স্মরণ
বুদ্ধপূর্ণিমা বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের
কাছে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। এটি বৈশাখ পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হয়। এই দিনটিতে
বৌদ্ধরা তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার স্মরণ করে:
গৌতম বুদ্ধের জন্ম:গৌতম বুদ্ধের জন্ম: খ্রিস্টপূর্ব ৬২৩ সালে লুম্বিনীতে (বর্তমানে নেপাল) গৌতম বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেন।
বুদ্ধত্ব লাভ: খ্রিস্টপূর্ব ৫৮৮ সালে বোধগয়া (বর্তমানে ভারত) তে বোধিবৃক্ষের নীচে বসে তিনি জ্ঞান লাভ করেন এবং বুদ্ধ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।
মহাপরিনির্বাণ: খ্রিস্টপূর্ব ৫৪৩ সালে কুশীনগর (বর্তমানে ভারত) তে বুদ্ধ মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন।
বুদ্ধপূর্ণিমা পালনের রীতিনীতি
বিভিন্ন দেশে ভিন্ন হতে পারে। তবে কিছু সাধারণ রীতিনীতির মধ্যে রয়েছে:
বুদ্ধ মূর্তি স্নান: বুদ্ধ মূর্তিগুলিকে সুগন্ধি দ্রব্য, ফুল এবং জল দিয়ে স্নান করানো হয়।
প্রদীপ জ্বালানো: মন্দির
এবং বাড়িতে প্রদীপ জ্বালানো হয়।
পঞ্চশীল পালন:পঞ্চশীল পালন: বৌদ্ধরা পঞ্চশীল (প্রাণ হত্যা না করা, চুরি না করা, মিথ্যা না বলা, অনৈতিক যৌনতা না করা, মদ্যপান না করা) মেনে চলার প্রতিজ্ঞা করে।
ধর্মীয় অনুষ্ঠান: মন্দিরে
ধর্মীয় অনুষ্ঠান, প্রার্থনা এবং সূত্র পাঠ করা হয়।
দানশীলতা: দরিদ্রদের খাদ্য,
পোশাক এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দান করা হয়।
শান্তিপূর্ণ আচরণ: বৌদ্ধরা
এই দিনটিতে শান্তিপূর্ণ আচরণ এবং মনোভাব বজায় রাখার চেষ্টা করে।
বুদ্ধপূর্ণিমা শুধু একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, বরং এটি শান্তি, সহানুভূতি এবং বোঝাপড়ার বার্তাও বহন করে। এই দিনটিতে বৌদ্ধরা বুদ্ধের শিক্ষা মনে রাখে এবং তাঁর আদর্শ অনুসরণ করার চেষ্টা করে।